গত বছর শরতে গিয়েছিলাম বন্ধুবর শার্লক হোমসের সঙ্গে দেখা করতে। গিয়ে দেখি লালমুখো, মোটাসোটা এক বয়স্ক ভদ্রলোকের সঙ্গে আলাপে মগ্ন ও। শুধু চেহারাই নয়, লোকটার মাথার চুলও আগুনের মতো লাল। অসময়ে হঠাৎ ঢুকে পড়বার জন্যে ক্ষমা চেয়ে বেরিয়ে আসছিলাম, এমন সময় হোমস আমাকে ভেতরে টেনে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল। সহাস্যে বলল, 'একেবারে সময়মতো চলে এসেছ, ওয়াটসন।'

'তুমি দেখছি আলোচনায় ব্যস্ত।'

'খুব ব্যস্ত।'

'আমি তাহলে পাশের ঘরে গিয়ে বসি।'

'মোটেই না। মি. উইলসন, ও আমার সহকর্মী এবং সহযোগী। এর আগে অনেক কেসে আমাকে সাহায্য করেছে। ওকে দিয়ে আপনারও উপকার হবে।'

চেয়ার থেকে অর্ধেকটা উঠে, চর্বি-ঢাকা কুতকুতে চোখের জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে আমাকে দেখলেন ভদ্রলোক। তারপর মাথাটা সামান্য নুইয়ে ফের বসে পড়লেন চেয়ারে।

আমাকে বসতে বলে হোমসও আবার আর্মচেয়ারে গা এলিয়ে দিল। তারপর বলল, 'আমি জানি, ওয়াটসন, আমার মতোই তোমারও অসাধারণ এবং গতানুগতিকতার বাইরের জিনিসের প্রতি আকর্ষণ আছে। সেই ভালোবাসা থেকেই আমার কেসগুলো লিখে রাখছ। অবশ্য আমার অনেক ছোটখাটো কাজকেই তুমি ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে লিখেছ।'